মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
যশোর প্রতিনিধি, কালের খবর, কালের খবর :
ঐতিহ্য আর আদর্শ ভুলে বারবার ছাত্রলীগের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারে শিক্ষার্থী হত্যা, চাঁদাবাজি, র্যাগিং, নির্যাতন ও ডাকাতির মতো ঘটনা থেকেও বাদ যায়নি যবিপ্রবি ছাত্রলীগ। সর্বশেষ পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সহপাঠীকে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় আবারও সমালোচনা ও সংবাদের শিরোনাম হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছাত্রলীগের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে কার্যত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না দেয়ায় বারবার এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
যবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ইসমাইল হোসেন নামে এক ছাত্রকে রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মশিয়ুর রহমান হলের ৫২৮ নাম্বার কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত যবিপ্রবির কম্পিউটার ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সালমান এম রহমান ও সোয়েব আলীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
এর আগেও গেল বছরের ১৬ অক্টোবর যবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ুর রহমান হলে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
২০১৪ সালের ১৪ জুলাই দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী নাইমুল ইসলাম রিয়াদকে কুপিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০১৭ সালের ৫ অক্টোবরে যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ুর রহমান হলে তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানের নেতৃত্বে হল ডাকাতির ঘটনার ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩০০ ফোন, ১০০ ল্যাপটপ, নগদ অর্থসহ ডাকাতি হয়। ঘটনার তিন পর ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস ২৫ জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।